About Us
About Gangni Mohila Degree College
মেহেরপুর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল। ভারত সীমান্তের গা ঘেষে দাড়িয়ে। বাঙগালী মুক্তি যুদ্ধ করেছে তাদের একটি স্বাধীন ভ’খন্ডের জন্য। আর্ন্তজাতিক বিশ্ব জানতে চাই সেটা কোন বিদ্রোহ নয, একটি বৈধ সরকারের অধীনে বাঙগালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলন চলছে। সেই গুরুত্ব পূর্ণ সমস্যাটির সমাধান হয়েছিল এই মেহেরপুরের মাটিতে। যা এখন ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামে খ্যাত। এই মেহেরপুরে তখন দুটি মাত্র উপজেলা। শিক্ষা, অর্থনীতি এবং উন্নয়নের সর্ব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া একটি জেলা। এখানে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। ততোধিক পিছিয়ে পড়া এই গাংনী উপজেলাটি। কিন্তু আশ্চ্যর্যের বিষয় দেশের সব জায়গায় এই উপজেলার ছেলে মেয়েরা গুরুত্ব পূর্ন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশকে সেবা দিয়ে চলেছে। সরকারী, বেসরকারী, ব্যবসা এবং গার্মেন্টস খাত সহ সবক্ষেত্রে তারা যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
১৯৯৫ সাল। গাংনী উপজেলায় মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই। এস,এস,সি পাস করে মেয়েরা ঘরে বসে থাকে। তখন মেহেরপুরে একটি মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার দুরুত্ব ১৯ কিঃমিঃ তা কোন কোন এলাকার জন্য ৩২ কিঃমিঃ পর্যন্ত দাড়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল। যা মেয়েদের চলাচলের জন্য মোটেই সুখকর নয়। তাই অভিভাবকরা মেয়েদের ঘরে বসিয়ে রাখতো এবং অল্প বয়সে বিবহের ব্যবস্থা করতে হতো। এমতাবস্তায় গাংনী উপজেলায় শিক্ষিতের হার সব চাইতে কম। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার হার খুবই নিম্নগামী ছিল।
কলেজের প্রতিষ্টাতা অধ্যক্ষ মহাঃ খোরশেদ আলী এখনো তিনি দায়িত্বে আছেন। তিনি তার কিছু উদ্যোগী বন্ধুদের সাথে নিযে গাংনী উপজেলায় মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেবার সংকল্প মাথায় নিয়ে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা উৎসাহী কিছু ছেলে মেয়েদের সাথে নিয়ে মাঠে নামলেন। এখানে কোন শিল্পপতি নাই, অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করার মত মানুষের বড় অভাব। তাই আমরাই মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি কিনে গাংনীর শিক্ষানুরাগী মানুয়ের ডেকে বল্লাম আমরা গাংনীতে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিতে প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই। বহু মানুষ আমাদের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন। তার মধ্যে যাদের নাম না করলেই নয়, মরহুম জালাল উদ্দিন। এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তার সহযোগিতা ও আন্তরিকতা আমাদের চির কৃতজ্ঞার পাশে আবদ্ধ করেছে। মরহুম চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, ফুলকুড়ির অধ্যক্ষ জনাব সিরাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট এ,কে,এম শফিকুল আলম সহ শর্ব স্তরের মানুষ। সকলের নাম নিতে গেলে কলেবর এলো বৃদ্ধি পাবে। তাই সকলকে স্বশ্রদ্ধা সালাম জানাই। কলেজটি তৈরীতে ইট, বালি, কাঠ, বাশ, মিস্ত্রি সহ সকল কাজে আমরা সব সময় যাকে কাছে পেয়েছিলাম তিনি জনাব মোঃ আলফাজ উদ্দিন। সেই সময় আমাদের সাথে ছিলেন তখনকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরউদ্দিন আহমেদ এবং অত্র থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস আলী। তারা সরকারী দায়িত্ব পালনের পরও আমাদের এই মহৎ কাজকে এগিয়ে নেবার জন্য বুদ্ধি, পরামর্শ এবং সেবা দিয়ে ধন্য করেছিলেন। যার ফলে আমরা কাঙখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পেরেছিলাম। অধ্যক্ষের সাথে তার বন্ধুরা মোঃ আনিসুজ্জামান, মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ মতিউল ইসলাম এবং মোঃ আব্দুল জলিল আমাদের সাথে থেকে গাংনীর মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে এই প্রতিজ্ঞা করেছিল। মোঃ মিজানুর রহমান এবং মোঃ ছানোয়ার হোসেন অধ্যক্ষের এই দুই জন বন্ধুর দায়িত্ব ছিলো কলেজের সেই সময়কার সমস্ত কাগজ পত্র সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষন করা। তারা এখনও কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
কলেজের বর্তমান সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ যারা আমার সাথে ১৯৯৮ সালে এমপিও ভ’ক্ত হয়েছিলেন তাদের শ্রম এবং সেবা না পেলে আমাদের এই কলেজ মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন হয়তো থেকে যেত। কলেজটির ভিত্তি প্রস্তর করেই আমরা অভিভাবকদের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে তাদের মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এলাকার মানুষের সহযোগিতায় বুঝিয়ে এবং সাহস দিয়ে অনেকের অল্প বয়সে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে অনেককে শুশুর বাড়ি থেকে এনে কলেজে ভর্তি করে দিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। ২৫/০৫/১৯৯৫ তারিখে কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়ে ০১/০৭/১৯৯৬ তারিখে যশোর বোর্ড কর্তৃক অনুমতি ও স্বীকৃতি পেয়ে ১৯৯৭ সালে ৬৭ জন ছাত্রী এইচ,এস,সি পরীক্ষা গ্রহন করে এবং ৫৯ জন ছাত্রী পাস করেছিল, যার পাসের হার ছিল ৮৭%।
২৫/৫/১৯৯৫ তারিখে তৎকালীন মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল গনির হাত দিয়ে যাত্রা শুরু হলো গাংনীর মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য গাংনী মহিলা কলেজ। ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসি সকলেই আন্তরিক ভাবে এগিয়ে এলেন, যে যার মত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে । বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৮৫ জন ছাত্রী এবং ডিগ্রী (পাস) পর্যায়ে ৫৩১ জন ছাত্রী ভর্তি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজটিতে লেখা পড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকায এবং শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিকতার কারণে প্রত্যেক বছর কলেজ থেকে মেহেরপুর জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
এখান থেকে মাননীয় সংসদ সদস্য হিসেবে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন কলেজটির উন্নয়নে তারাই সব চাইতে বড় ভ’মিকাটি পালন করেছেন। বর্তমান নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ মকবুল হোসেন তার হাত দিয়েই কলেজটিতে সুপরিসর তিন তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তরও উদ্বোধন হয়েছে। কলেজটির এমপিও ভ’ক্ত তার হাত দিয়েই হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।
যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে গাংনীর শিক্ষিত যুবকেরা গাংনীর মানুষের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল, সেই অবহেলিত এলাকার মেয়েরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে দেশের সকল কর্মকান্ডে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে দেশ ও এলাকার মানুষের সেবা দিয়ে মেয়েদের অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখুক এটাই আমাদের কামনা।
Everyday at the Campions School is like a blessing with the active students and talented staff members around.
মহাঃ খোরশেদ আলী —অধ্যক্ষ
Gangni Mohila Degree College at a Glance
0
K+
Current Enrollments
0
+
Qualified Staff
0
+
Clubs & Activities
0
+
Active PTFA Members
Mission Statement
Our mission at Champion school is to develop the unique abilities and potential of each child by offering an enriched educational program. We strive for excellence through a hands-on approach. Rich traditions rooted in our innovative curriculum grow productive, caring, and intellectually curious citizens.
Our Core Values
We have a culture that is modern, relevant, and inspires students to have a brighter future. We are determined in our approach to learning, are creative in our thinking, and bold in our ambitions.
Our Philosophy
We, at Champion School, follow a child-centered educational approach. We make sure that it is based on scientific observations from birth to adulthood. We believe that a child is naturally curious and is capable of initiating learning in a supportive and thoughtfully prepared environment.